Friday, May 27, 2011

আজ পাখিটির মন ভাল নেই...

এইমাত্র নির্ভরযোগ্য সুত্রে খবর পাওয়া গেল,
পাখিটির আজ মন ভাল নেই।
সবাই আকাশ বাতাশ এক করে দিয়ে
গোলমাল পাকায় মিয়া বাড়ির উঠোনে,
কেন পাখিটির মন ভাল নেই?

সবাই আমার দিকে তাকায় গম্ভীর ভাবে,
আমি আবার কি করলাম!
এমনভাবে তাকাচ্ছ কেন তোমরা, যেন পাখিটি কাঁদছে
আমার কারনে।
থাকো তোমরা পাখিটি নিয়ে আমি গেলাম।

বসে আছি বড় দীঘিটির এক কোণে,
দোষটা কি সত্যিই আমার?
কিই বা এমন হয়েছে, পাখিটিকে অতীতের কিছু স্মৃতি
মনে করিয়া দিয়েছি বলে?

এখন আমার মন ভাল নেই,
তবুও ডুব দিচ্ছি আমার অতীত স্মৃতিতে...
এখন আমার ও পাখিটির,
কারোই মন ভাল নেই।

Thursday, May 26, 2011

রূপসী বাংলা মার্বেল রুম, ফেইসবুক অনুবাদক মেলা

২রা মে,২০১১
গতানুগতিক সকালের মতন ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সকাল পেরিয়ে যাচ্ছিল। আম্মুর ডাকে ঘুম থেকে উঠেই ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। কুমিল্লা থেকে ঢাকার দূরত্ব যদিও ৯৭ কিমি. কিন্তু এখন আর কত ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে তার ঠিক নেই।

শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে আক্কেল গুডুম, এশিয়া লাইনের বাসই কাউন্টারে নাই! জানতে পারলাম ডেমরার কাছে মাদ্রাসার কিছু ছাত্র রাস্তায় মিটিং করছে! তাদের কি দোষ, দেশে এখন আন্দোলনের জায়গার বড়ই অভাব।

বাস ছাড়ল বেলা ১ টায়, ঢাকায় পৌঁছালাম বিকেল ৪ টায়। পরে সিএনজিতে জিগাতলা, বড় আপুর বাসায় গেলাম। সুহা আর একটু বড় হয়েছে। যখন মামা ডাকবে, তখন কতইনা ভাল লাগবে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষন রেস্ট করলাম। মাহবুব ভাইয়ের আমার সাথে যাওয়ার কথা ছিল, ব্যস্ততার কারনে উনি অফিস থেকে আসতে পারলেন না। ছোটর শরীর খারাপ তাই বড় আপু ও সুহাকে নিয়ে রূপসী বাংলায় যাব ঠিক হল।

বড় আপুর সাজগোজের কারনে বাসা থেকে বের হতে ৭ টা বেজে গেল। আবার সিএনজিতে করে রূপসীতে পৌঁছালাম। রুবায়েত ভাইকে আগেই ফোন করেছিলাম, তাই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাতে কোন সমস্যা হয়নি। সেখানে লেনিন ভাইয়ের সাথে দেখা হল, তাই খুব ভাল লাগল। অধ্যাপক আবদুল্লা আবু সাইদ স্যার যখন ডায়াসে উঠলেন তখন আমার ভাগ্নি সুহার দুর্বোধ কথামালায় মার্বেল রুম ভরে উঠলো! তারপর বুফে শুরু হল। সুহার ডেজার্ট বেশি ভাল লেগেছিল। গ্রামীনফোনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হল। রাত ৯:৩০ টায় অনুষ্ঠান শেষ হল। রিকসা দিয়ে বড়র বাসায় আসলাম।

জীবন থেকে পেরিয়ে গেল আরেকটি ঘটনাবহুল দিন।

Monday, April 4, 2011

কাল আসলে কত প্রকার!

ইহা সেই সময়ের কথা যখন স্কুল পরিদর্শনে সৎ সরকারি পরিদর্শক বহু কষ্টে দুরদুরান্তে স্কুল পরিদর্শনে যেতেন।

একদা সেই রকম এক পরিদর্শক গেলেন অজপারাগায়ের এক স্কুলে।
ক্লাস সিক্স এ গিয়ে দেখেন বাংলা ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন নিতাই পণ্ডিত।পরিদর্শক তাই ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন,বলতো কাল কত প্রকার?
ক্লাস এর ফাস্টবয় বলাই দাঁড়িয়ে বলল,স্যার ৩ প্রকার।অতীত,বর্তমান আর ভবিষ্যৎ।
পরিদর্শক ভাবলেন একটু পরীক্ষা করে দেখি আত্মবিশ্বাস আছে কি রকম।
রেগে যাওয়ার ভান করে বললেন,তুমি ঠিক জান?
বলাই,আমতা আমতা করে,হা স্যার।

নিতাই পণ্ডিত আর থাকতে না পেরে বলল,স্যার মাফ করবেন আরও ২ প্রকার এখনও শিখাইনি।
পরিদর্শক,তার মানে?
নিতাই,স্যার ইহকাল ও পরকাল আজি শিখাতাম।

পরিদর্শক রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন হেডমাস্টার রমাকান্তকে অভিযোগ দিতে।
পরিদর্শক,আপনার স্কুলে শিক্ষকই জানে না কাল কত প্রকার।বলে কাল নাকি ৫ প্রকার?
রমাকান্ত,স্যার কিছু মনে করবেন না।উনি যে ২ প্রকার কম বলেছে তার জন্য ক্ষমা চাই।কাল তো মোট ৭ প্রকার।
পরিদর্শক,তার মানে?
রমাকান্ত,তাদের শিখার কোন আগ্রহই নাই।কত করে বললাম ইহকাল আর পরকাল এর সাথে যোগ করতে হয় সকাল ও বিকাল।

Friday, April 1, 2011

বিষয়:দৈনিক মতিকণ্ঠের জন্যে সাংবাদিক ও জেলা প্রতিনিধি খোঁজা।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এইযে,আমি সাইমন রূপ।চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর এক ছাত্র।আমি যখন মতিকণ্ঠের আলতুফালতু সংবাদ পড়ি তখন বড়ই আনন্দ লাভ করি।ইতিমধ্যে এর নিউজ লিংকগুলো আমি গভীর মমতায় আমার মুখবই এ পোস্ট করে চলছি।এর সরাসরি অংশীদার হতে পারলে কৃতজ্ঞ হব।
সবিনয় নিবেদন এই যে,আমাকে মতিকণ্ঠের সাংবাদিক নিয়োগ দিলে আমি অত্তাধিক আনন্দিত হইব।
তারিখ:০২/০৪/২০১১ই                                                           আপনার একান্ত বাধ্যগত
                                                                                          সাইমন রূপ।

পাসপোর্ট, ম্যানুয়াল নাকি ডিজিটাল!

এক বছর আগের কথা, আমেরিকান দূতাবাস এ ১২ই এপ্রিল, ২০১০ দেখা করতে হবে। পাসপোর্ট করতে হচ্ছে তারাতারি। পাসপোর্ট অফিস এ গিয়ে দেখি সরকার এম.আর.পি (মেশিন রীডেবল পাসপোর্ট) নামক ডিজিটাল পাসপোর্ট এর তোরজোড় করছে, এর পর থেকে ম্যানুয়াল পাসপোর্ট এর চিরতরে বিদায়। আমাকে দেওয়া হল ম্যানুয়ালটা জরুরী নাম দিয়ে যেহেতু আমার দ্রুত পাসপোর্ট দরকার। পাসপোর্ট এর মেয়াদ হল মাত্র এক বছর। যাক ডিজিটাল হচ্ছে দেশ! এতটুকু ছাড় তো আমাদের দিতেই হবে। ম্যানুয়ালটা নিয়েই ভিসা হয়ে যাওয়াতে আর কষ্ট লাগেনি তখন।
এক মাস আগের কথা, পাসপোর্ট এর মেয়াদ সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে। গেলাম পাসপোর্ট অফিসে। গিয়ে দেখি ডিজিটাল পাসপোর্ট তো হছে সাথে ম্যানুয়ালটা হচ্ছে ধুমছে। ওখানের এক বড় ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম ঘটনা কি? আমার সময় তো বলছে এর পর আর ম্যানুয়ালটা হবে না, এখন ডিজিটালটাই তো কম হচ্ছে। ভাই জানাল ডিজিটালটা মিডেল ইস্ট এ চলে না, তাদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভাল না। উল্লেখ্য, ডিজিটাল পাসপোর্ট নেট ছাড়া রিড করা যায় না আর পাসপোর্ট এ নিজের তথ্য ছাড়া আর কোন তথ্য যেমন মা-বাবা এর নাম দেয়া নাই। (দুবাই নাকি এক বাংলাদেশিকে এয়ারপোর্ট এ জিজ্ঞসা করেছে, তুমি কি জারজ !) সরকার কি জানতোনা যে মিডেল ইস্ট কি চলে? বাংলাদেশ এর বেশির ভাগ মানুষই মিডেল ইস্ট যায়। তখন অল্প মেয়াদের কারনে অনেকে ভিসা পায়নি, এর দায় কি সরকার নিয়েছিল? (এম. এর. পি শুধু পরে ইউরোপ,আমেরিকা যেতে লাগবেত। এম. আর. পি করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু মেজাজ খারাপ হয়াতে ম্যানুয়াল টাই আবার করাতে দিলাম।
জয়েতু ডিজিটাল পাসপোর্ট, জয়েতু ডিজিটাল সরকার।

জন এফ. কেনেডিঃআমেরিকার প্রবেশদার

বিমানের জানালা দিয়ে দেখছি আমার ছোট জন্মভূমিটা আরও ছোটট হয়ে যাচ্ছে।
সময় ৩:৪৯এ.এম,২৪ই মে,২০১০। 
জানালার পাশের সিটটা দেওয়ার জন্য রফিক ভাইকে ধন্যবাদ দিয়েছি কিনা মনে পড়ছে না।ইস আকাশের মেঘগুলো যেন পেঁজাতুলো,চুপটি করে একটা ডুব দিতে পারতাম যদি কাল মেঘের বুকে।খুব ঘুম পাচ্ছে,এক সুন্দরী(বিমানবালা) নাস্তা দিয়ে গেল।খেয়েই ঘুম দিলাম।
দোহা বিমানবন্দর,কাতার।
সময় ১০:৫৭এ.এম,২৪ই মে,২০১০।
নিউ ইয়র্ক এর উদ্দেশে যাত্রা করলাম।বিমান এ বসে ক্লান্ত।সিনেমা দেখে সময় পার করতে হবে।একে একে দেখলাম "All the best,Veer,Avatar,Weak up Sid"।তথ্য দেখাচ্ছে আরও ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট লাগবে জন এফ কেনেডি পৌছাতে।হে আল্লাহ সাহায্য কর,আমি খুব ক্লান্ত..
আমেরিকার মাটিতে পা রাখলাম।ইমিগ্রেসন পেরোতে কম সময় লাগল।
সময় ৩:০০পি.এম,২৪ই মে,২০১০।
চমৎকার অনুভুতি।চোখ আঁটকে এলো বিমানবন্দরের কার্নিশে বসা চড়ুই পাখি দেখে,আরে তোরা এখানে কি করিস?মজা পেলাম খুব।আমকে নিতে ওমার ফারুক ভাই আসবেন।রফিক ভাইকে নিতে উনার পরিচিত বন্ধু আসল।এই শেষ দেখা রফিক ভাইকে এখন পর্যন্ত,আর দেখা হবে কিনা আল্লাহই জানে?
ফারুক ভাই আসলে উনার সাথে এয়ারট্রেন চেপে জামাইকা স্টেশনে গেলাম,তারপর সাবওয়ে দিয়ে এলারত্রন আভিনিয়,তার পাশেই ভাই এর বাসা।
সময় ১০:০০পি.এম,২৪ই মে,২০১০।
খেয়েদেয়ে ভ্রমণ ক্লান্তিতে বিছানায় এলিয়ে দিলাম শরীর।শুভ রাত্রি আমেরিকা...শুভ রাত্রি।

Aaliyah Dana Haughton:Star back to Sky

One day in 2010 i was watching the movie named "Romeo Must Die".I saw that the lady in this movie too much pretty.I want to know the name of this girl.For this i search in google and find her name "Aaliyah Dana Haughton".I am too much surprise,she was death!A plane crashed and took her life when she was only 22.We love you,we miss you Aaliyah.